Saturday 30 October 2010

এভারেস্টে ইন্টারনেট!


এভারেস্টের চূড়ায় পৌঁছে এখন থেকে পর্বতারোহীরা ইন্টারনেটের নেটওয়ার্ক ব্যবহারে সক্ষম হবেন। নেপালের একটি টেলিকম গ্রুপ এই দাবি করেছে। এর ফলে পর্বতারোহীরা পৃথিবীর সর্বোচ্চ চূড়া থেকে মুঠোফোনের মাধ্যমে ভিডিও ফোন করতে পারবেন। ইন্টারনেটের ব্যবহার ও যোগাযোগের মাধ্যমে প্রিয়জনের সঙ্গে উপভোগ করতে পারবেন এভারেস্ট জয়ের অনুভূতি।
সুইডিশ মোবাইল অপারেটর টেলিয়াসোনেরার সহযোগী প্রতিষ্ঠান এনসেল গত বৃহস্পতিবার এভারেস্টে ইন্টারনেট নেটওয়ার্ক স্থাপনের এ ঘোষণা দিয়েছে। প্রতিষ্ঠানটি বলেছে, এভারেস্ট অঞ্চলের গোরকশেপ এলাকায় পাঁচ হাজার ২০০ মিটার উঁচুতে উচ্চ ক্ষমতাসম্পন্ন তৃতীয় প্রজন্মের (থ্রিজি) একটি ফোন বেজ স্টেশন স্থাপন করা হয়েছে।
এ দিন এনসেলের নেপালি প্রধান পাসি কোয়িসটিনেন কাঠমান্ডুতে সাংবাদিকদের বলেন, ‘মাউন্ট এভারেস্টের বেজ ক্যাম্প থেকে আজ আমরা বেশ সফলভাবে পৃথিবীর সর্বোচ্চ উঁচুতে ভিডিও কল করেছি। এভারেস্টের চূড়ায় নেটওয়ার্ক পাওয়া গেছে।’
এভারেস্টের সর্বোচ্চ চূড়া আট হাজার ৮৪৮ মিটার থেকে এর আগে স্যাটেলাইট ফোনের মাধ্যমে যোগাযোগ করা যেত। তবে তা ছিল খুবই ব্যয়বহুল। ২০০৭ সালে চায়না মোবাইল এভারেস্টে নেটওয়ার্ক স্থাপন করেছে। তবে এ নেটওয়ার্ক থেকে কেবল পর্বতের চীনা অঞ্চলে কথা বলা যেত।
টেলিয়াসোনেরার প্রধান নির্বাহী লার্স নাইবার্গ বলেন, ‘মুঠোফোন যোগাযোগের জন্য এটা একটা বড় ধরনের মাইলফলক।’ এনসেলের ৮০ শতাংশ মালিকানা টেলিয়াসোনেরার।
এভারেস্টে টেলিফোন-সুবিধা পৌঁছে দিলেও পৃথিবীর অন্যতম দরিদ্র দেশ নেপালের এক-তৃতীয়াংশেরও কম লোক টেলিকম-সুবিধা পাচ্ছে। এএফপি।

Blog Archive