সামাজিক নিরাপত্তাবেষ্টনীর পরিধি বাড়বে: অর্থমন্ত্রী জ্বালানি ও মূল্যস্ফীতি নিয়ে সরকার উদ্বিগ্ন
ইআরএফের সভায় বক্তব্য দেন অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত
দেশের জ্বালানি পরিস্থিতি ও মূল্যস্ফীতি নিয়ে সরকার যে উদ্বিগ্ন, তা জানালেন অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত। একই সঙ্গে আশ্বাস দিলেন জ্বালানিসংকট কাটাতে সরকারের নেওয়া নানা পদক্ষেপের ব্যাপারে।
অর্থমন্ত্রী বলেন, আন্তর্জাতিক বাজারে খাদ্যসামগ্রীর দাম বেড়ে যাওয়ায় দেশে মূল্যস্ফীতি দেখা দিয়েছে। তবে মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণে সরকার সামাজিক নিরাপত্তাবেষ্টনী বাড়ানোর পাশাপাশি খাদ্যে ভর্তুকিও বাড়াবে।
গতকাল রোববার দেশের অর্থনৈতিক প্রতিবেদকদের সংগঠন ইকোনমিক রিপোর্টার্স ফোরামের (ইআরএফ) সঙ্গে এক মতবিনিময় সভায় অর্থমন্ত্রী এসব কথা বলেন।
রাজধানীর জাতীয় প্রেসক্লাবে আয়োজিত এ অনুষ্ঠানে ইআরএফের সভাপতি মনোয়ার হোসেন ও সাধারণ সম্পাদক আবু কাওসারসহ অন্যরা উপস্থিত ছিলেন।
অর্থমন্ত্রী বলেন, সরকার দেশের গ্রামীণ অর্থনীতির উন্নয়ন করতে চায়। এ ক্ষেত্রে বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও যোগাযোগ ব্যবস্থা বড় বাধা। সরকার গ্রামের জনগণকে বিদ্যুৎ দিতে চায়। বর্তমানে গ্রামীণ জনগোষ্ঠীর মাত্র ৪৫ শতাংশ বিদ্যুৎসুবিধা পাচ্ছে।
মুহিত বলেন, সরকার যে কার্যক্রম হাতে নিয়েছে, তাতে ২০১৫ সালের মধ্যে নয় হাজার মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদন করা সম্ভব হবে। তবে ২০১২ সালের মধ্যে বিদ্যুৎসংকট থেকে উত্তরণ হলেও পুরো চাহিদা মেটাতে হলে ২০১৫ সাল পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হবে।
অর্থমন্ত্রী জানান, বিবিয়ানার প্রথম প্রকল্পের কার্যাদেশ নভেম্বরের মধ্যে দেওয়া হবে। এ ছাড়া দ্বিতীয় প্রকল্পের কার্যাদেশ জানুয়ারির মধ্যে দেওয়া হবে। এক হাজার মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদন ক্ষমতাসম্পন্ন এই কেন্দ্র নির্মাণে প্রায় পাঁচ বছর সময় লেগে যাবে।
মূল্যস্ফীতি সম্পর্কে অর্থমন্ত্রী বলেন, বর্তমান মূল্যস্ফীতির হার আগের চেয়ে কিছুটা কমলেও এখনো ওপরের দিকে রয়েছে। পয়েন্ট টু পয়েন্ট ভিত্তিতে জুন মাসে মূল্যস্ফীতির হার ৮ দশমিক ৭০ শতাংশ থাকলেও গত আগস্ট মাসে তা কমে হয়েছে ৭ দশমিক ৫২ শতাংশ। তবে জুলাই মাসে এই হার ছিল ৭ দশমিক ২৬ শতাংশ।
তবে মূল্যস্ফীতি কিছুটা বাড়লেও এখনো এটি নিয়ন্ত্রণের মধ্যে রয়েছে বলে দাবি করেন অর্থমন্ত্রী। বলেন, মূল্যস্ফীতি প্রশমনে সরকার সামাজিক নিরাপত্তার পরিধি বাড়ানোর পাশাপাশি খাদ্যে ভর্তুকি বাড়ানোর পরিকল্পনা নিয়েছে।
মুহিত জানান, এরই অংশ হিসেবে সরকার ইতিমধ্যে চার লাখ টন খাদ্য আমদানি ও দুই লাখ টন খাদ্য স্থানীয়ভাবে সংগ্রহ করেছে। আর স্থানীয়ভাবে খাদ্যের উৎপাদন বাড়ানোর জন্য বোরো মৌসুমের আগেই সারের দাম কমানো হয়েছে। এ ছাড়া চলতি অর্থবছরের কৃষিঋণ বিতরণের লক্ষ্যমাত্রাও বেড়েছে।
অর্থমন্ত্রী আরও বলেন, আন্তর্জাতিক বাজার প্রতিনিয়ত ওঠানামা করছে। অচিরেই খাদ্যসামগ্রীর দাম কমার কোনো লক্ষণ নেই। তা ছাড়া ভোজ্যতেলের দাম বাড়ছে। তবে জ্বালানি তেলের দাম স্থিতিশীল রয়েছে। চলতি অর্থবছরে দেশে বিনিয়োগ বেড়ে তা মোট দেশজ উৎপাদনের (জিডিপি) ২৪ শতাংশ ছাড়িয়ে যাবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন অর্থমন্ত্রী। চলতি অর্থবছরের জিডিপির প্রবৃদ্ধির হার ৬ দশমিক ৭০ শতাংশ প্রাক্কলন করা হয়েছে বলেও তিনি উল্লেখ করেন।
অর্থমন্ত্রী দেশের রপ্তানি ও আমদানি পরিস্থিতি নিয়ে সন্তোষ প্রকাশ করেন। তিনি বলেন, দেশের হিমায়িত খাদ্য ও চা ব্যতীত অন্যান্য পণ্যের রপ্তানি সন্তোষজনক। দেশে চায়ের চাহিদা বেড়ে যাওয়ায় রপ্তানি কমছে। অন্যদিকে চলতি অর্থবছরের প্রথম দুই মাসে দেশে ভোগ্যপণ্য ও মূলধনি যন্ত্রপাতির আমদানি বেড়েছে।
মুহিত বলেন, দেশের শিল্প খাতের প্রবৃদ্ধির হার ৬ দশমিক ৬০ শতাংশের কাছাকাছি হয়ে স্থিতিশীল রয়েছে। এ ছাড়া দেশের কৃষি খাতের প্রবৃদ্ধিও সন্তোষজনক।
দেশের পুঁজিবাজার সম্পর্কে অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত বলেন, ‘পুঁজিবাজারে তেজিভাব থাকলেও অতিমূল্যায়িত হয়ে পড়েছে বলে আমি মানতে নারাজ। পুঁজিবাজারে সূচকের উত্থান-পতন থাকবেই। তবে বাজারের স্থিতিশীলতা আনতে নিয়ন্ত্রক সংস্থা এসইসি সরকারের কাছে প্রস্তাব দিয়েছে।’
দেশের পুঁজিবাজার ’৯৬ সালের মতো অবস্থা হওয়ার কোনো সম্ভাবনা নেই বলেও উল্লেখ করেন অর্থমন্ত্রী।
মুহিত আরও বলেন, পুঁজিবাজার স্থিতিশীল রাখতে হলে শেয়ারের সরবরাহ বাড়াতে হবে। আগামী তিন মাসের মধ্যেই ২৫-২৬টি সরকারি প্রতিষ্ঠানের শেয়ার বাজারে আসবে বলে তিনি জানান।
এক প্রশ্নের জবাবে অর্থমন্ত্রী বলেন, ‘উপজেলা পর্যায়ে পুঁজিবাজার বিস্তারের জন্য বেশ কয়েকজন আমাকে পরামর্শ দিয়েছেন। কিন্তু কিছু উপজেলায় গেলেও সব উপজেলায় ঢালাওভাবে তা বিস্তারের সুযোগ নেই। এ ছাড়া আরও নতুন স্টক এক্সচেঞ্জ প্রতিষ্ঠার কোনো পরিকল্পনা আপাতত নেই। ’
বিশ্বকাপ ক্রিকেট আয়োজনে শরিক হওয়ায় তা বাংলাদেশের অর্থনীতিতে কোনো ইতিবাচক ভূমিকা রাখবে কি না—জানতে চাইলে অর্থমন্ত্রী বলেন, ‘সাফল্যের সঙ্গে এই আয়োজন করা গেলে তা দেশের ভাবমূর্তি উজ্জ্বল করবে।’
নতুন সাজে বিশেষায়িত ব্যাংকিং প্লাটিনাম কার্ড নিয়ে এল স্ট্যান্ডার্ড চার্টার্ড ব্যাংক
নতুন আঙ্গিকে বিশেষায়িত ব্যাংকিং ও প্লাটিনাম কার্ড নিয়ে এল স্ট্যান্ডার্ড চার্টার্ড ব্যাংক। গতকাল রোববার রাজধানীতে স্থানীয় একটি হোটেলে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে আনুষ্ঠানিকভাবে এই প্লাটিনাম কার্ডের উদ্বোধন করা হয়। আর বিশেষায়িত ব্যাংকিং সেবা নতুনভাবে উপস্থাপন করা হয়।
স্ট্যান্ডার্ড চার্টার্ড ব্যাংকের বিশেষায়িত ব্যাংকিং সেবা সর্বনিম্ন ৩৫ লাখ টাকা ব্যাংকে উদ্বৃত্ত আছে অথবা সর্বনিম্ন ৭০ লাখ টাকার গৃহায়ণ/বন্ধকি ঋণের গ্রাহকদের জন্য এটি প্রযোজ্য। এ ছাড়া যাঁদের মাসিক বেতন দুই লাখ টাকার ওপরে তাঁরাই বিশেষায়িত ব্যাংকিংয়ের সেবা পাবেন।
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বক্তব্য দেন স্ট্যান্ডার্ড চার্টার্ড বাংলাদেশের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা জিম ম্যাককেইব এবং বাংলাদেশ, শ্রীলঙ্কা ও নেপালের হেড অব কনজ্যুমার ব্যাংকিং সন্দ্বীপ বোস। এ ছাড়া বিশেষায়িত ব্যাংকিং সম্পর্কে ধারণা দেন প্রিমিয়াম ব্যাংকিংয়ের মহাব্যবস্থাপক এ এন এম মাহফুজ ও হেড অব কার্ডস গীতাঙ্ক দত্ত।
জিম ম্যাককেইব বলেন, ‘গ্রাহকদের জীবনধারার সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে বিশেষায়িত ব্যাংকিং সেবা নতুন আঙ্গিকে সাজিয়েছে স্ট্যান্ডার্ড চার্টার্ড ব্যাংক। গ্রাহকদের জীবনমানের পরিবর্তন আনতে নতুন সব পণ্য ও সেবা উপহার দিতে এই ব্যাংক সব সমই সচেষ্ট। আমরাই বাংলাদেশে প্রথম বিশেষায়িত ব্যাংকিং সেবা নিয়ে আসি।’
সন্দ্বীপ বোস বলেন, স্ট্যান্ডার্ড চার্টার্ড ব্যাংকের কনজ্যুমার ব্যাংকিংয়ের একটি বড় অংশ হলো বিশেষায়িত ব্যাংকিং। দ্রুত বর্ধমান এই বাজার-অর্থনীতিতে গতিশীলতা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে।
এ এন এম মাহফুজ জানান, আজকের গতিময় বিশ্বে গ্রাহকেরা আরও সহজ, স্বচ্ছ সেবা আশা করেন। অধিকাংশ বিত্তবানই একটি নির্দিষ্ট ব্যাংকের সঙ্গে সুদৃঢ় সম্পর্ক স্থাপনে আগ্রহী।
এ এন এম মাহফুজ আরও জানান, তাঁরা এমন একটি ব্যাংকের সঙ্গে সম্পর্ক স্থাপন করতে আগ্রহী, যে তাঁদের সম্মান ও মূল্য দেয়।
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে জানানো হয়, নিয়মিত সেবার পাশাপাশি নতুন প্লাটিনাম ক্রেডিট কার্ডের গ্রাহকেরা স্বাগত উপহার হিসেবে সঙ্গীসহ ঢাকা-কলকাতা-ঢাকা রুটে কিংফিশার এয়ারলাইনসের টিকিট পাবেন। এ ছাড়া ১০০টির বেশি দেশের ৬০০টির বেশি বিমানবন্দরে লাউঞ্জ ব্যবহারের সুবিধা, হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে পরিবারের তিনজনসহ বলাকা লাউঞ্জ ব্যবহার ও প্লাটিনাম প্যাসেঞ্জার হ্যান্ডলিং সার্ভিস, এয়ার টিকিট ও হোটেল রুম বুকিং, ভিসাবিষয়ক সহযোগিতা, নির্দিষ্ট আন্তর্জাতিক হাসপাতালে সেবা নেওয়ার সুযোগ, দেশে-বিদেশে নির্দিষ্ট রেস্তোরাঁ, হোটেল, গলফ কোর্স ও বিউটি সেলুনে প্লাটিনাম সুবিধা, ১০ লাখ টাকার বিমা সুবিধা পাবেন।
স্ট্যান্ডার্ড চার্টার্ড ব্যাংকের মতে, বাংলাদেশের সর্বাধিক গুরুত্বপূর্ণ ৮৫ হাজার ব্যক্তি বিশেষায়িত ব্যাংকিং সেবার আওতাভুক্ত। ২০১২ সালের মধ্যে এমন ব্যক্তির সংখ্যা আরও ২৫ হাজার বেড়ে এক লাখ ১০ হাজারে উন্নীত হবে।
ডিএসইতে আবার সূচক বাড়ার রেকর্ড ইপিএস নিয়ে কারসাজি তদন্ত করবে এসইসি
পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত অব্যাংকিং আর্থিক খাতের প্রতিষ্ঠান বাংলাদেশ ইন্ডাস্ট্রিয়াল ফাইন্যান্স কোম্পানি লিমিটেডের (বিআইএফসিএল) দুজন শীর্ষস্থানীয় কর্মকর্তার বিরুদ্ধে প্রতিষ্ঠানের আয়ের হিসাব নিয়ে কারসাজির অভিযোগ উঠেছে।
একজন বিনিয়োগকারীর করা এ অভিযোগ খতিয়ে দেখতে তদন্ত কমিটি গঠন করেছে নিয়ন্ত্রক সংস্থা সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (এসইসি)। ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) ওয়েবসাইটে গতকাল রোববার কমিটি গঠনের খবর প্রচার করা হয়।
এসইসির পরিচালক রেজাউল করিমকে প্রধান করে দুই সদস্যের কমিটি গঠন করা হয়েছে। কমিটির অন্য সদস্য সংস্থাটির উপপরিচালক আবুল কালাম। আগামী ৩০ নভেম্বরের মধ্যে এই কমিটিকে এসইসির কাছে তদন্ত প্রতিবেদন জমার সময় বেঁধে দেওয়া হয়েছে।
এসইসি সূত্র জানায়, সম্প্রতি তাদের কাছে লিখিত অভিযোগ আসে, বিআইএফসিএলের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা ও প্রধান আর্থিক কর্মকর্তা যোগসাজশ করে কারসাজির মাধ্যমে প্রতিষ্ঠানটির প্রথম প্রান্তিকের শেয়ারপ্রতি আয় (ইপিএস) কম দেখিয়েছেন।
কোম্পানিটি দ্বিতীয় প্রান্তিকে যেখানে ইপিএস দেখিয়েছে ১৩ টাকা ৩৮ পয়সা, সেখানে প্রথম প্রান্তিকে দেখানো হয়েছিল তিন টাকা ৮৭ পয়সা। অভিযোগকারীর দাবি, কোম্পানিটির সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা শেয়ারবাজারে বিনিয়োগ থেকে অর্জিত মুনাফা কম দেখিয়ে ইপিএস কমিয়েছেন। আর এভাবে ইপিএস কম দেখানোর কারণে সাধারণ বিনিয়োগকারীরা কাঙ্ক্ষিত মুনাফা থেকেও বঞ্চিত হয়েছেন।
জানা যায়, অভিযোগকারী ডিএসইতে প্রথম অভিযোগ দাখিল করেন। পরে ডিএসই বিষয়টি এসইসির কাছে হস্তান্তর করে। এরই পরিপ্রেক্ষিতে অভিযোগ খতিয়ে দেখতে তদন্ত কমিটি গঠন করেছে এসইসি।
ডিএসইর ওয়েবসাইটের তথ্য অনুযায়ী, ২০০৯ সালে সমাপ্ত বছরে নিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদনে ইপিএস দেখানো হয়েছে ৩৪ টাকা ৩৪ পয়সা, যা আগের বছরের চেয়ে ১৯ টাকা বেশি। বর্তমানে কোম্পানিটির ১০০ টাকা অভিহিত মূল্যের প্রতিটি শেয়ার এক হাজার ১০০ টাকার ওপরে লেনদেন হচ্ছে।
বাজার পরিস্থিতি: দেশের শেয়ারবাজারে মূল্যসূচক বাড়ার ধারা অব্যাহত রয়েছে। প্রতিদিনই সূচক আগের অবস্থানকে ছাড়িয়ে যাচ্ছে। এরই ধারাবাহিকতায় গতকাল রোববার সপ্তাহের প্রথম দিনে মূল্যসূচকে নতুন রেকর্ড হয়েছে।
ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) গতকাল সাধারণ মূল্যসূচক আগের দিনের চেয়ে ৮৪ পয়েন্ট বেড়ে প্রায় সাত হাজার ৭০০ পয়েন্ট ছুঁয়েছে। এর প্রভাবে স্টক এক্সচেঞ্জটির বাজার মূলধনও তিন লাখ ৩২ হাজার কোটি টাকা অতিক্রম করেছে। এর আগে ডিএসইর সূচক ও বাজার মূলধন এই পর্যায়ে কখনো ওঠেনি।
এদিকে বাজারের টানা ঊর্ধ্বগতির পরিপ্রেক্ষিতে আজ সোমবার মার্চেন্ট ব্যাংকগুলোর সংগঠন বাংলাদেশ মার্চেন্ট ব্যাংকার্স অ্যাসোসিয়েশনের সঙ্গে বৈঠক করবে নিয়ন্ত্রক সংস্থা সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (এসইসি)। তবে এসইসির একজন দায়িত্বশীল কর্মকর্তা জানিয়েছেন, বাজারসংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের সঙ্গে নিয়মিত বৈঠকের অংশ হিসেবেই এ বৈঠক অনুষ্ঠিত হবে।
লেনদেনের শুরুতেই গতকাল বাজার অনেক ঊর্ধ্বমুখী হয়ে ওঠে। প্রথম পাঁচ মিনিটে ডিএসইর সাধারণ সূচক আগের দিনের চেয়ে প্রায় ৮০ পয়েন্ট বেড়ে যায়। আর দিনের শেষ ভাগে এসে সূচক আগের দিনের চেয়ে প্রায় ১০০ পয়েন্ট বেড়ে যায়। তবে শেষ মুহূর্তে তা আবার খানিকটা কমে আসে।
ডিএসইতে গতকাল ব্যাংকিং খাত ছাড়া বাকি সব খাতই ছিল ঊর্ধ্বমুখী। এ দিন স্টক এক্সচেঞ্জটিতে ২৪৪টি কোম্পানির শেয়ার লেনদেন হয়েছে। এর মধ্যে দাম বেড়েছে ১৫৮টির, কমেছে ৮৪টির এবং অপরিবর্তিত ছিল দুটি কোম্পানির শেয়ারের দাম।