গত শনিবার নয়াদিল্লিতে ভারতের বাণিজ্যমন্ত্রী আনন্দ শর্মার সঙ্গে বাংলাদেশের বাণিজ্যমন্ত্রী ফারুক খান
বাংলাদেশের সঙ্গে ভারতের বাণিজ্য ঘাটতি কমানোর জন্য ভারতের শিল্পপতিদের প্রতি বেশি করে বাংলাদেশে বিনিয়োগের আহ্বান জানানো হয়েছে।
বাংলাদেশের বাণিজ্যমন্ত্রী ফারুক খানের নয়াদিল্লি সফরকালে ভারতের কনফেডারেশন অব ইন্ডিয়ান ইন্ডাস্ট্রিজ (সিআইআই) এবং ফেডারেশন অব ইন্ডিয়ান চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রিজ (ফিকি) আয়োজিত দুটি পৃথক বৈঠকে এই আহ্বান জানানো হয়।
বাংলাদেশের বাণিজ্য প্রতিনিধিদলের আগমন উপলক্ষে ফিকি শুক্রবার ও সিআইআই শনিবার রাতে দুটি পৃথক বৈঠকের আয়োজন করে। নয়াদিল্লিরি দুটি হোটেলে অনুষ্ঠিত বৈঠকগুলোয় ভারতের বিশিষ্ট শিল্পপতিরা উপস্থিত ছিলেন।
দুই বৈঠকেই বাংলাদেশের প্রতিনিধিরা বলেন, এখন বাংলাদেশে যৌথ মালিকানায় বিভিন্ন শিল্প স্থাপনের অনুকূল পরিবেশ বিরাজ করছে। ভারতের শিল্পপতিরা বাংলাদেশে বিনিয়োগে এগিয়ে এলে বাংলাদেশের শিল্পপতিরা আর ইউরোপ ও আমেরিকার দিকে তাকিয়ে থাকবে না।
ফিকির বৈঠকে সভাপতিত্ব করেন ফিকির মহাসচিব অমিত মিত্র। সিআইআইর বৈঠকে সভাপতিত্ব করেন টাটা গ্রুপের সিনিয়র উপদেষ্টা ও সিআইআইয়ের অন্যতম কর্মকর্তা শ্যামল গুপ্ত।
দুটি বৈঠকেই উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশের বাণিজ্যমন্ত্রী ফারুক খানসহ বাংলাদেশের ২৩ সদস্যের বাণিজ্য প্রতিনিধিদল।
বৈঠক দুটিতে সার্ক চেম্বারের সভাপতি আনিসুল হক, বাংলাদেশ শিল্প ও বণিক সমিতি ফেডারেশনের (এফবিসিসিআই) সভাপতি এ কে আজাদসহ বাংলাদেশের অন্যান্য শিল্পপতিরা উপস্থিত ছিলেন।
বৈঠকে বাংলাদেশের শিল্পপতিরা জানান, এখন বাংলাদেশ বিশ্বমানের পণ্য উৎপাদন করছে। এসব পণ্যের ব্যাপক চাহিদা রয়েছে ভারতের উত্তর-পূর্বাঞ্চলের বিভিন্ন রাজ্যে। তাই উত্তর-পূর্বাঞ্চলের রাজ্যে যদি বাংলাদেশি পণ্যের আমদানি বাড়ে, তাহলে দ্বিপক্ষীয় বাণিজ্য ঘাটতি কমে আসবে।
এদিকে বাংলাদেশের বাণিজ্যমন্ত্রীর সঙ্গে সাক্ষাৎকালে ভারতের বাণিজ্যমন্ত্রী আনন্দ শর্মা বলেছেন, ‘বাংলাদেশের কাছে উত্তর-পূর্বাঞ্চল অত্যন্ত লাভজনক এক বাজার হয়ে উঠতে পারে। সেখানে বাংলাদেশি পণ্যের যথেষ্ট চাহিদাও রয়েছে।’
এদিকে গতকাল সকালে ইন্দো-বাংলা চেম্বারের সভাপতি আবদুল মাতলুব আহমাদের সঙ্গে কথা হয় প্রথম আলোর এই প্রতিনিধির। তিনি বলেন, ‘আমরা ভারতের বিশাল বাণিজ্য-বাজার দেখে অভিভূত। আমরা চাই এই বাজারের অংশীদার হতে। তাই আমাদের দেশে যদি ভারতীয় শিল্পপতিরা যৌথ উদ্যোগে শিল্প গড়ে তোলেন, তবে তার বাজার যেমনই পাওয়া যাবে বাংলাদেশে, তেমনই পাওয়া যাবে ভারতসহ বিদেশে।’
প্রসঙ্গত, গত শনিবার নয়াদিল্লিতে দুই দেশের মধ্যে দুটি চুক্তিতে স্বাক্ষর হয়েছে। একটি হলো দুটি সীমান্ত হাট স্থাপনের বিষয়ে। অন্যটি হলো দুই দেশের পণ্যবাহী ট্রাক সরাসরি দুই দেশের সীমান্তের ২০০ মিটার পর্যন্ত প্রবেশ করার বিষয়ে।
শেরাটনে সপ্তাহব্যাপী ব্রিটিশ খাদ্য উৎসব আজ শুরু
রাজধানীর শেরাটন হোটেলে আজ সোমবার থেকে শুরু হচ্ছে যুক্তরাজ্যের কারি ফেস্টিভ্যাল। ‘টেস্ট অব ব্রিটেন’ শীর্ষক এই খাবারের উৎসব আগামী সাত দিন চলবে।
শেরাটন হোটেল ও ব্রিটেনের সাময়িকী কারি লাইফ যৌথভাবে এই উৎসবের আয়োজন করছে।
গতকাল রোববার শেরাটন হোটেলে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানানো হয়। সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন শেরাটন হোটেলের মহাব্যবস্থাপক আহমদ বুখারি হামজা, পরিচালক (বিক্রয় ও ব্যবস্থাপনা) মাহফুজুর রহমান, মার্কেটিং কমিউনিকেশন ব্যবস্থাপক শাহিদুস সাদিক এবং কারি লাইফ-এর এডিটর ইন চিফ নাহাশ পাশা।
সংবাদ সম্মেলনে কারি উৎসবের পরিচালক সৈয়দ বেলাল আহমদ বলেন, ব্রিটেনে বাঙালিদের প্রায় ১২ হাজার রেস্টুরেন্ট রয়েছে। এগুলোতে প্রায় এক লাখ বাঙালি কর্মরত আছেন। বাঙালিদের তৈরি ব্রিটেনের খাবার বিশ্বে বেশ সুনাম অর্জন করেছে। তাঁদের এই অর্জনকে স্বীকৃতি দিতেই উৎসবটির আয়োজন করা হয়েছে।
আয়োজকেরা জানান, ব্রিটেনের চারজন জনপ্রিয় পাচককে (শেফ) এই উৎসব উপলক্ষে বাংলাদেশে আনা হয়েছে। তাঁরা উৎসবে ব্রিটেনের বিভিন্ন ধরনের খাবার তৈরি করবেন। এবারের কারি উৎসবে ৫০টি নতুন ধরনের খাবার থাকছে।
শেরাটন হোটেলের গ্র্যান্ড বল রুমে উদ্বোধন হলেও উৎসব চলবে বীথিকা রেস্টুরেন্টে। প্রতিদিন সন্ধ্যায় যে কেউ উৎসবে আসতে পারবেন। জনপ্রতি এসব খাবারের মূল্য নির্ধারণ করা হয়েছে এক হাজার ৮০০ টাকা।