‘স্বপ্নভুখ’ নাটকে আপনার চরিত্রটি নিয়ে কিছু বলুন।
নাটকে আমি একজন কবি। ভালো চাকরি করি। অর্থের কোন অভাব নেই। কিন্তু আমি এই অর্থ উপভোগ করতে চাই না। মানুষের মুখে হাসি ফোটানোর জন্য আমি মিথ্যে বলি। নাটকের চরিত্রের মধ্য দিয়ে আমি বলতে চাই, মিথ্যেও কখনো কখনো মানুষের জীবনে সুখ বয়ে আনে।
আপনি তো মঞ্চেও নিয়মিত কাজ করছেন?
আমার পেশাজীবন এই মঞ্চকে ঘিরেই। বারো বছর আগে যোগ দিই সেন্টার ফর এশিয়ান থিয়েটার—সিএটিতে। এখানে আমি পুরোদমে পেশাদার অভিনেতা। মঞ্চে এখন আমার দুটি নাটক নিয়মিত প্রদর্শিত হয়। এর একটি হচ্ছে দ্য কমিউনিকেটর ও অন্যটি ভেলুয়া সুন্দরী। এর মধ্যে দ্য কমিউনিকেটর নাটকে আমি কমিউনিকেটরের ভূমিকায় অভিনয় করেছি।
আপনি এবার ‘এস এম সোলায়মান প্রণোদনা বৃত্তি’ পেয়েছেন।
২০০৯ সালের জন্য ‘এস এম সোলায়মান প্রণোদনা বৃত্তি’ পেলাম। এটা কিন্তু মঞ্চে আমার কাজ করার স্বীকৃতি। কী করেছি, জানি না। এখানেও আরও ভালো কাজ করার ইচ্ছা আছে।
এখন কী নিয়ে ব্যস্ত?
এনটিভিতে সবুজ নক্ষত্র নামের একটি ধারাবাহিক চলছে। এছাড়া মেজবাউর রহমান সুমনের মিথ্যা তুমি দশ পিঁপড়া ও আবদুল্লাহ রানার একটি নাটকে কাজ করছি। বিজ্ঞাপনের কাজ তো আছেই। মঞ্চে সাত্ত্বিক নাট্য সম্প্রদায়ের জন্য সিলেটের শ্রীহট্ট গীতিকার একটি অংশ নির্দেশনা দেব। কথাবন্ধু হিসেবে এবিসি রেডিওতে প্রতি বৃহষ্পতিবার বিকেলে বেহাল চৌরাস্তা অনুষ্ঠানটি করছি। এছাড়া ছোটদের জনপ্রিয় অনুষ্ঠান সিসিমপুর-এ বাহাদুর চরিত্রটি তো আছেই।