জেন অস্টেন (আঁকা ছবি)
অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের একজন গবেষক দাবি করেছেন, বিশ্বখ্যাত ঔপন্যাসিক জেন অস্টেনের কালজয়ী সৃষ্টিকর্মগুলোয় সম্পাদকের কলমের ব্যাপক আঁচড় রয়েছে। সম্পাদনার গুণেই অনন্য হয়েওঠে তাঁর লেখা।
অক্সফোর্ডের ইংরেজি সাহিত্যের অধ্যাপক ক্যাথরিন সাদারল্যান্ড গত শনিবার বলেন, তিনি অস্টেনের হাতে লেখা এক হাজার ১০০ পৃষ্ঠার একটি অপ্রকাশিত উপন্যাসের পাণ্ডুলিপি সংগ্রহ করেছেন। সাদারল্যান্ডের দাবি, পাণ্ডুলিপিটির অনেক বানান ভুল। এছাড়া বাক্যগঠনেও রয়েছে নানা অসঙ্গতি। সাদারল্যান্ড বলেন, বাক্যগঠনের স্বতন্ত্র ধরন, কাব্যিক বর্ণনা ও শব্দের যথার্থ প্রয়োগের বিষয়ে অস্টেন যে আকাশছোঁয়া খ্যাতি পেয়েছেন, তা অন্য কোনো ঔপন্যাসিকের কপালে জোটেনি। কিন্তু অস্টেনের এই পাণ্ডুলিপি পড়ে তিনি দেখেছেন, যে কাব্যিক ভঙ্গিমা ও ভাষাগত অলংকরণের জন্য তিনি বিখ্যাত হয়ে আছেন, পাণ্ডুলিপিতে তা অনুপস্থিত। তার বদলে সেখানে বহু কাটাকুটি দেখা গেছে। বহু শব্দ বা বাক্য কেটে সেখানে অন্য কোনো প্রমিত শব্দ বা বাক্যাংশ যুক্ত করা হয়েছে।
সাদারল্যান্ড বলেন, জন দ্বিতীয় মিউরে ছিলেন অস্টেনের প্রকাশক। আর তাঁকে প্রকাশনার কাজে সাহায্য করতেন তৎকালীন ঝানু সম্পাদক উইলিয়াম জিফোর্ড। এ দুজনের মধ্যে যেসব পত্রবিনিময় হয়, সেগুলো গবেষণা করে তিনি দেখেছেন, অস্টেনের লেখা সম্পাদনা নিয়ে তাঁদের মধ্যে কথা হয়। ওই চিঠিগুলো পড়ে বোঝা যায়, উইলিয়াম জিফোর্ডই জেন অস্টেনের লেখা সম্পাদনা করে-ছিলেন। তাঁর সফল সম্পাদনার কারণেই জেন অস্টেন ইংরেজি সাহিত্যের ‘পারফেক্ট স্টাইলিস্ট’ হয়ে উঠতে পেরেছেন।
১৭৭৫ সালে দক্ষিণ ইংল্যান্ডে জন্ম নেওয়া লেখিকা জেন অস্টেন যেসব উপন্যাসের জন্য বিখ্যাত হয়ে আছেন, সেগুলো হলো: সেন্স অ্যান্ড সেনসিবিলিটি, প্রাইড অ্যান্ড প্রেজুডিস, ম্যান্সফিল্ড পার্ক, ইমা, নর্দাঙ্গার অ্যাবি ও পার্সুয়েশন। ১৮১৭ সালে তাঁর মৃত্যু হয়। এএফপি ও বিবিসি।